हिन्दी | English | বাংলা | ಕನ್ನಡ | മലയാളം
•ঝাড়খণ্ডের গড়বাতে একদিনের সাংস্কৃতিক পদযাত্রা•
কেরালায় নিপা ভাইরাসের হুমকির কারণে ‘ঢাই আখর প্রেম’ জাতীয় সাংস্কৃতি জাঠার সূচিতে একটু বদল হল। কোভিড কালের ভয়ানক ত্রাস সকলে ভুগেছে, তাই এমন এক পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকাই জরুরি ছিল। এই কারণে ২ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর কেরালায় প্রস্তাবিত পদযাত্রা স্থগিত রাখার কারণে ইপ্টার জাতীয় নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নেয় যে, কিছু কিছু রাজ্যে প্রতিকী হিসাবে এই দিনগুলিতে একদিনের পদযাত্রা করা হোক, যাতে ভালবাসা, শান্তি, একতা আর পারস্পরিক সদ্ভাবের বার্তা নিয়ে পদযাত্রা থেমে না যায়। ঢাই আখর প্রেম সাংস্কৃতিক যাত্রার পরিকল্পনা ভগত সিং এর জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর গান্ধীজির শহিদ দিবস ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের কোনও কোনও প্রান্তে ভালবাসা ও সৌহার্দের বার্তা নিয়ে লাগাতার জারি থাকে। ২২ সেপ্টেম্বর অনলাইন ভার্চুয়াল মিটিং-এ ঝাড়খণ্ড ৫ অক্টোবর একদিনের পদযাত্রা করার প্রস্তাব দেয় এবং অঙ্গীকার করে যে, এই প্রতিকী যাত্রা ঝাড়খণ্ডের গড়বা জেলায় হবে।
এর প্রস্তুতিতে ১ অক্টোবর গড়বা জেলার সাথীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। ইপ্টার জাতীয় সম্পাদক শৈলেন্দ্র কুমার আর ঝাড়খণ্ড ইপ্টার সাধারণ সম্পাদক উপেন্দ্র মিশ্র গড়বা গিয়ে ইপ্টার পুরানো সাথী সঞ্জয় তিওয়ারির নেতৃত্বে একটি আয়োজন সমিতি গঠন করেন। এই সমিতিতে আশরফি যোগেন্দ্র নাথ চৌবে, নমস্কার তিওয়ারি, বীরেন্দ্র রাম, জেলা পরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্র সিং, গৌতম ঋষি, রাহুল সিং এবং জসম এর আনোয়ার ঝঙ্কার প্রমুখ পদযাত্রাকে সফল করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সিদ্ধান্ত হয় যে, খজুরি গ্রাম থেকে মঝিয়াঁও পর্যন্ত এই পদযাত্রা ভালবাসা আর অনুরাগের বার্তা প্রচার করবে।
৫ অক্টোবর গড়বা থেকে একদিনের পদযাত্রায় যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডাল্টনগঞ্জের শিল্পীরা। সকাল ১০টায় দুটি গাড়িতে আমরা – উপেন্দ্র মিশ্র, শোইলেন্দ্র সিং, প্রেম প্রকাশ, রাজীব রঞ্জন, সমরেশ সিং, অনুভব মিশ্র, অমিত কুমার ভোলা, সঞ্জীব ঠাকুর, ঘনশ্যাম কুমার, সঞ্জীব দুবে আর রবিশঙ্কর – গড়বার দিকে রওনা হলাম। আমরা ডাল্টনগঞ্জ ছেড়ে একটু এগোতেই আয়োজকদের ফোন এল, কর্মসূচিতে সামান্য অদলবদল হয়েছে। পদযাত্রা শুরু হবে গড়বা জেলার সদর দফতরের সামনে আম্বেদকর চকে বাবাসাহেবের মূর্তিতে মাল্যদান করে। তাই একটু আগে এলে ভাল হয়। শিল্পীরা অটোতে যাচ্ছিলেন, যাদের গড়বা পৌঁছাতে কমবেশি ২ ঘণ্টা লাগবে। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যাবে। সিদ্ধান্ত বদলে এবার শিল্পীদের দলকে গাড়িতে পাঠিয়ে নেতৃত্ব, যার মধ্যে জাতীয় সম্পাদক শৈলেন্দ্র কুমার, সাধারণ সম্পাদক উপেন্দ্র মিশ্র ও অন্য সাথীরা ছিলেন, তারা পিছনের অটোতে রওনা হলেন। মাঝ রাস্তায় অটো গেল খারাপ হয়ে রাস্তায় ফেঁসে রইলেন।
যাই হোক, শিল্পীরা গড়বায় পৌঁছে গেলেন। আয়োজকরা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আমরা পৌঁছাতেই কর্মসূচি শুরু হয়ে গেল। আম্বেদকর মূর্তিতে মাল্যদানের পর ‘ঢাই আখর প্রেম’ জাতীয় সাংস্কৃতিক যাত্রার উদ্দেশ্য বলে জনসাধারণকেও আমাদের সঙ্গে হাঁটতে বলা হল। ডাল্টনগঞ্জ ইপ্টার শিল্পীরা ওমপ্রকাশ নাদিমের লেখা গান ‘হাম ঢাই আখর প্রেম পড়নে আয়ে হ্যায়, হাম ভারত সে নফরত কা দাগ মিটাতে আয়ে হ্যায়’ গেয়ে যাত্রা শুরু হল। পদযাত্রা সবে শুরুই হয়েছে, গড়বার প্রধান চকে কোনও একটা ঘটনা নিয়ে স্থানীয় লোকেরা অবরোধ করেন। গাড়ি চলাচল, মানুষের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। যাই হোক, কোনও ভাবে আমরা জ্যাম কাটিয়ে বাইরে এসে দেখি শৈলেন্দ্র জি সামনে দাঁড়িয়ে। তিনি জানালেন, যেহেতু অটো খারাপ হয়ে গেছে, তাই কোনও ভাবেই আগে পৌঁছানো গেল না। সবাই রাস্তাতেই ফেঁসে ছিলেন। পদযাত্রায় যোগ দেবার জন্য তিনি একজন ট্রাক ড্রাইভারের সাহায্য নিয়ে ট্রাকে চড়ে তারা এখানে পৌঁছেছেন। পরে জানা গেল, বাকি সাথীরা ডাল্টনগঞ্জ থেকে অন্য গাড়ি আনিয়ে গড়বা আসছেন, কিন্তু দেরি হবে।
যাই হোক, যাত্রা থামল না। গড়বা থেকেও অনেকে যোগ দেওয়ায় পদযাত্রার নির্দিষ্ট স্থানে পৌছাতে একটই অটো বুক করা হল। মাঝিয়াঁও মোড় থেকে সবাই আলাদা আলাদা গাড়িতে খজুরি গ্রাম পৌছাই, যেখান থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে অটৌলা, খরসোতা হয়ে ফের মাঝিয়াঁওতে শেষ হবে। এরই মধ্যে রাস্তায় অনেকগুলি জায়গায় পদযাত্রা থামিয়ে স্থানীয় লোকেদের সঙ্গে আলোচনা হল। ভালবাসা আর অনুরাগের বার্তা দেওয়া হল। শান্তি আর ভালবাসার গান গাইতে গাইতে আর মানুষের হাতে হাতে প্রচারপত্র বিলি করতে করতে আমরা এগোতে থাকলাম।
গড়বা থেকে অটৌলা হয়ে মাঝিয়াঁও এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব
১৯৯১ সালে পালামৌ জেলা থেকে কেটে গড়বা জেলা তৈরি হয়। নিচু জায়গা হওয়ার জন্যই এর নাম গড়বা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। বিহার, উত্তর প্রদেশ আর ছত্তিশগড়ের সীমান্তবর্তী গড়বা জেলা প্রাচীন কালে বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় গড়বা জেলার আলাদা আলাদা জায়গায় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার প্রতি আগ্রহ তৈরি করে সমাজকে নতুন দিশা দেওয়ার কাজ কএরছিলেন।
গড়বা জেলার সদর দফতর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খজুরি গ্রামের লগমা মন্দির, যেখানে একসঙ্গে অনেক দেবদেবীর মন্দির রয়েছে আর পাশেই কৈলাশ পর্বত, আজও সম্প্রীতির ঐতিহ্যের কেন্দ্র হয়ে রয়েছে। এখানে বার্ষিক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমাবেশগুলি হয়। তাতে আশেপাশের রাজ্যগুলি থেকে বড় সংখ্যায় মানুষ এসে যোগ দেন। খজুরি গ্রামের কাছে কোকরমার বাসিন্দা দেবরাজ তিওয়ারিকে মানুষ আজও সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি স্বাধীনতার পরে ভারত সরকারের সিনিয়ার IAS হিসেবে দেশের সেবা করেছেন আর স্থানীয় এলাকায় উন্নয়নের প্রকল্পগুলিকে সফল রূপ দিয়ে সাধারণ মানুষের উন্নতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন।
খজুরি গ্রামে পৌঁছানোর পর দেখা যায়, যুবকদের একটি বড় সাংস্কৃতিক দল আমাদের পথ চেয়ে রয়েছেন। কারণ, রাস্তায় জ্যাম এবং গাড়ি খারাপ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় দু ঘণ্টা দেরি হয়ে গেছে। রাহুল সিং এর নেতৃত্বে স্থানীয় যুবকদের দলটি পদযাত্রায় যোগ দেওয়া সাথীদের ঊষ্ণ স্বাগত জানান। সেই দলে ছিলেন মোহন সোনি। অনিল চৌধরী, অনিল কুমার যাদব, অনুজ যাদব, রমণ পাশোয়ান, ছোটু পাশোয়ান, মনীষ রাম, শ্যামগঙ্গা প্রমুখ। এই যুবকেরা এই গ্রামের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধার্মিক গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের জানান। এর পর আমরা সবাই রাস্তার ধারে অবস্থিত সরকারি স্কুল এর পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় জাঠার সাংস্কৃতিক উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করি। ইপ্টার শিল্পীরা সন্ত কবীরের ‘যরা ধীরে গাড়ি হাঁকো, মেরে রাম গাড়িওয়ালে’ গেয়ে শোনান। এর পর ফের আমরা এগোতে থাকি।
পদযত্রার রাস্তায় অটৌলা গ্রাম আর বিপ্লবী – একে অপরের সমার্থক শব্দ বুঝি। পালামৌ নিবাসী লেখক সাংবাদিক প্রভাত মিশ্র সুমন তার লেখা ‘পালামৌ কে ক্রান্তিকারী’ গ্রন্থে এবং গড়বা জেলার প্রবীণ সাহিত্যিক রমেশ চঞ্চল তার ‘গড়বা কে ইতিহাস’ গ্রন্থে পটোলা গ্রামের চর্চা বিশেষ ভাবে করেছেন। বস্তুত ১৯৪২-এর আগস্ট বিপ্লবের সময়েই অনন্ত চতুর্দশী পড়েছিল। এই গ্রামে উতসাহের সঙ্গে এই উৎসব পালিত হয়। বিপ্লবী নেতা যদুনন্দন তিওয়ারি, দেবরাজ তিওয়ারি আর ইন্দ্রজিত তিওয়ারি সেইদিন গ্রামেই ছিলেন। ইংরেজ তাদের বার বার গ্রেফতার করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। সোন নদীর রাস্তায় আসার পথে সিপাই মাল্লা আর অন্য গ্রামীণ লোকেদের বোঝাপড়ায় গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছতেই পারছিল না। পুলিশ কর্মীরা হতভম্ব হতে বাধ্য হচ্ছিল। যখন তারা জানতে পারে যে অনন্ত চতুর্দশী উপলক্ষ্যে এই তিন বিপ্লবী গ্রামেই আছে, তখন তারা কৌশল অবলম্বন করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করে। অন্য জায়গায় তারা যখন স্নান করছিলেন, তখন ধরে ফেলে। তাদের প্রথমে স্থানীয় থানায় নিয়ে পরে ডাল্টনগঞ্জ জেলে পাঠানো হয়। আদালতের সাজায় এদের হাজারিবাগ জেলে দীর্ঘ সময় কারাবাস করতে হয়। এই তিনজন একে অপরের আত্মীয় ছিলেন। জেলার আরেক বিপ্লবী জগনারায়ণ পাঠকও এদের আত্মীয় ছিলেন। পাঠকের মামার বাড়ি ছিল অটৌলায়।
পদযাত্রার সময় এই গারমে যাওয়া আর সেখানকার বিপ্লবীদের সম্পর্কে আরও জানা, বোঝা এবং লোকেদের কাছে তাদের গুরুত্ব বর্ণনা করা দারুণ সুন্দর এক অনুভূতি।
একদিনের পদযাত্রার শেষ পর্ব ছিল মাঝিয়াঁও গ্রামে। সম্ভবত মৎস্যজীবীদের গ্রাম থেকে মাঝিয়াঁও নামটা এসেছে, যদিও এর কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। নেহাৎই লোকশ্রুতি। কারণ, কোয়েল নদীর পাড়ে অবস্থিত মাঝিয়াঁও গ্রাম কোয়েল নদীর জলসিঞ্চনে একটি সমৃদ্ধ গ্রাম বলেই জানা যায়। এখানে জন্ম নেওয়া শম্ভু নাথ প্রবাসী জি প্রখর বিদ্বান ও গীতিকার হিসেবে সুপরিচিত। এই সাংস্কৃতিক জাঠা থেকে বলা হয়, প্রবাসী জিকে স্মরণ করা এই কারণে জরুরি যে, নিজের সাহিত্যিক যাত্রাপথে তিনি এলাহাবাদে সুমিত্রানন্দন পন্থের সঙ্গে তিনি অনেকগুলি মাস কাটিয়েছেন আর দেশের বড় বড় মঞ্চে কবিতা পাঠ করেছেন। তার লেখা মধুর গানে তিনি সকলের মন জয় করেছিলেন। জীবনের শেষ পর্বে তিনি সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন আর গড়বা চেতনের ব্রহ্ম বিদ্যালয়ে আশ্রম বানিয়ে বাকি জীবন সেখানেই কাটিয়েছেন। তার সেই আশ্রম আজও রয়েছে। সময়ের অভাবে পদযাত্রীরা সেই আশ্রমে যাওয়ার সুযোগ না পেলেও সেই বার্তা তাদের কাছে পৌ&ছে দেওয়া হয়।
গ্রামে ঢোকার মুখেই আম্বেদকরের মূর্তি দেখা যায়। সেখানে সবাই কিছু সময় দাঁড়ায়। ডাক পেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীরা আসেন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। তাদের সঙ্গে আজকের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলে তাদের মতামত শোনা হয়। শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সমস্যার বিষয়ে গ্রামবাসীরা মন খুলে কথা বলেন। সকলেই স্বীকার করেন যে, পারস্পরিক ভালবাসাই শাশ্বত। ভালবাসা ছাড়া জীবন বা সমাজ কোনওটাই টেকে না। হিন্দু হোক বা মুসলমান, ব্রাহ্মণ হোক বা দলিত, সকলের মধ্যে প্রেমভাব থাকলে তবেই সবাই একসঙ্গে বাস করতে পারেন। গ্রামবাসীরা জানান, এখনও পর্যন্ত এই গ্রামে সবাই পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভালবাসা নিয়েই বাস করেন। কিছু লোক, যারা ঘৃণা ছড়াতে চান, নিজেদের মধ্যে সংঘাতের চেষ্টা করেন, তাদেরও ভালবাসার পাঠ পড়াতে হবে।
পদযাত্রার শেষে মাঝিয়াঁও-এর প্রধান বাজারে একতি পথসভা করা হয়। এখানে পদযাত্রার সাথী সঞ্জয় তিওয়ারি, আশরফি চন্দ্রবংশী, ধর্মেন্দ্র সিং, শৈলেন্দ্র কুমার, প্রেম প্রকাশ ও অন্য পদযাত্রীরা তাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে সমাজে ছড়িয়ে পড়া ঘৃণার বিরুদ্ধে ভালবাসার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘৃণার রাজনীতি দিয়ে যারা শত্রুতা, হিংসা ও অমানুষতার প্রচার করছে, তাদের চিহ্নিত করে তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রেম, অহিংসা আর সদ্ভাবনার সংস্কৃতি বিকশিত করার আবেদন জানানো হয়, যাতে আমরা সবার জন্য একটা আরও ভাল ও সুন্দর পৃথিবী বানাতে পারি। এই সাংস্কৃতিক যাত্রার এটাই বলার চেষ্টা যে, আমরা সবাই মিলে “ঢাই আখর প্রেম পড়নে, আউর পড়নে আয়ে হ্যায়। ভারত সে নফরত কা দাগ মিটানে আয়ে হ্যায়”।
Report: Ravishankar | Translation: Chandrasekhar Bhattacharjee