हिन्दी | English | বাংলা | ಕನ್ನಡ | മലയാളം
“ঢাই আখর প্রেম” রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক জত্থা দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক অভিযানে পুরো উদ্যমে বেরিয়ে পড়েছে ৷বন্ধুত্ব, সমতা, সৌর্হাদ, অনুরাগ, বাৎসল্য ও প্রগতিশীলতাই আমাদের শক্তি।এই সাংস্কৃতিক জত্থার পদযাত্রার সূচনা ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ শহীদ ভগৎ সিংহের জয়ন্তীর দিন আলোওয়ার রাজস্থানে হয় ও দেশের ২২টি রাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈচিএতা, লোক জীবন,সাঁঝা ঐতিহ্য, সমরসতা জানতে,বুঝতে ও তা অঙ্গীকার করতে-করতে এর যাত্রার পরিসমাপ্তি হবে ৩০শে জানুয়ারী ২০২৪ মহাত্মা গান্ধীর শহীদ দিবসে দিল্লীতে৷
এই শৃখলায় “ঢাই আখর প্রেম” সাংস্কৃতিক জত্থার ৬অক্টোবর ২০২৩ এ আগমন হয় উওর প্রদেশের রায়বরেলী জনপদে৷শহরের মধ্যভাগে ডিগ্রী কলেজ চৌরাহা স্থিত শহীদ চৌক থেকে ঢাই আখর প্রেম সাংস্কৃতিক যাত্রা আয়োজন সমিতি রায়বরেলীর ব্যানারে সংস্কৃতিকর্মী, সাহিত্যকার, সামাজিক কার্য্যকর্তারা পদযাত্রা করেন৷
যাত্রার প্রারম্ভিক সম্বোধনে ইপটা উওর প্রদেশের রাজ্য মহাসচিব এবং প্রদেশ যাত্রা সমন্বয়কারী শহজাদ রিজভী এই যাত্রার উদ্দেশ্যের উপর আলোকপাত করে বলেন যে ঢাই আখর যাত্রার কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেই বরং আজ দেশে প্রসারিত ঘৃণার রাজনীতি ও সংস্কৃতি,বিদ্বেষ,বিভাজন,অন্যায়,ক্রুরতার জবাবে সমতা,স্বাধীনতা,ন্যায় ও ভ্রাতৃত্রের বার্তা জনে –জনে পৌঁছে দেবার জন্য এই যাত্রা৷
এই অবসরে লিটল ইপটা আর লখনৌ ইপটার সাথীরা “ঢাই আখর প্রেম কা পঢ়নে ঔর পঢ়ানে আয়ে হ্যায়, হাম ভারত সে নফরত কা হর দাগ মিটানে আয়ে হ্যায়” উদ্বোধনী গান দিয়ে সবাইকে আহ্বান জানায় ও পরে রাশিয়ান লেখক আন্তন চেখভের লেখা “গিরগীট” (নাট্য রূপান্তর-রমেশ উপাধ্যায়) নাটকটি প্রস্তুত করে৷নির্দেশনা ইচ্ছা শংকরের ৷এই কার্যক্রমে শতাধিক প্রবুদ্ধ নাগরিকগণ ও আম দর্শক উপস্থিত ছিলেন৷এখান থেকে মোটামুটি ৫০ জনের সাংস্কৃতিক কাফিলা নিজেদের পরবর্তী গন্ত্যব্যের দিকে আগুয়ান হলো৷
শহরের ব্যস্ততম এলাকা হয়ে এই কফিলা নিজেদের দ্বিতীয় গন্ত্যব্য রাজা বেনী মাধব তেমাথায় পৌঁছাল৷রায়বেরীলির প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক রাজা বেনী মাধব যিনি ব্রিটিশ শাসকের বর্বরতার বিরুদ্ধে হাজারো কৃষক, মজদুরদের জড়ো করে ক্রান্তির মশাল জ্বালাতে,ইংরেজদের দম্ভ চূর্ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন ও তাদের থাবা থেকে ১৮টি মাস সব জেলাকে মুক্ত রাখতে সফল হয়েছিলেন৷
এখানে লিটল ইপটা ও লখনৌ ইপটার সাথীরা “তু জিন্দা হ্যায় তু জিন্দেগী কী জিৎ পর ইয়কিন কর”, কবীরের পদ-“মেরে সর সে টলী বলা”, “মেরী মালা টুটি”ও “কবীরা ভলা হুয়া” গানগুলি পরিবেশন করেন৷সাংস্কৃতিক জত্থার সাথীরা নাচ-গান ও পথ নাটিকার প্রদর্শন করতে করতে নিজেদের তৃতীয় গন্ত্যব্য নেহরু নগরে পৌঁছে গণ সঙ্গীত পরিবেশন ও পথ নাটিকার প্রদর্শন করার পর পরবর্তী ও অন্তিম গন্ত্যব্য স্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন৷
যাত্রা সমাপন স্থল ছিল সাই নদীর তটে স্থিত প্রায় ১০২ বছর পূর্বে মুন্সীগঞ্জ গুলি কাণ্ডের স্মৃতিতে তৈরী শহীদ স্মারক৷যেখানে ইংরেজ সরকার দ্বারা ১৯২১ সালে নিরস্ত্র কৃষকদের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করা হয়৷যেখানে ৭০০ কৃষক বন্ধু নিহত হোন ও প্রায় ১৫০০ বন্ধু আহত হোন৷জালিয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকাণ্ডের পর এটি ভারতের সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড৷সর্বপ্রথম এখানকার মাটি কপালে লাগিয়ে জত্থার প্রতেকটি সাথী শহীদদের উদ্দেশ্যে প্রনাম ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷ সেখানে উপস্থিত বিপুল সংখক দর্শকদের সম্মুখে পুনঃ পথ নাটিকা “গিরগীট” মঞ্চস্থ করেন ও গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন৷
সর্ব শেষে স্থানীয় যাত্রা সংযোজক ও রাজ্য ইপটার অধ্যক্ষ সন্তোষ দে যাত্রায় শামিল সমস্ত সাথীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন৷যাত্রায় রাজ্য সমিতির থেকে প্রান্তীয় উপাধ্যক্ষ প্রদীপ ঘোষ, ইপটার রাষ্ট্রীয় সমিতির সদস্য ওম প্রকাশ নদীম,ক্ষেএের সচিব সুমন শ্রীবাস্তব ছাড়াও ইচ্ছা শংকর, বিপিন মিশ্রা, সোনি যাদব, দামিনী, বৈভব শুক্লা, হর্ষিত শুক্লা, রাহুল পান্ডে, হনি খান, কৃষ্ণা গুপ্তা, তন্ময়, কৃষ্ণা সিংহ,শ্রী নন্দ কুমার, রমেশ শ্রীবাস্তব, জনার্দন মিশ্র, সন্তোষ চৌধুরী, অমিত যাদব, রেনু চৌধুরী, সুরেন্দ্র শ্রীবাস্তব, সপনা, অমল, বৈশালী, রাহুল, পূজা, রামদেব, আকাশ, রমাকান্ত, অশোক ইত্যাদি শামিল ছিলেন৷
প্রস্তুতকর্তা –শহজাদ রিজভী | অনুবাদঃ মিত্রা সেন