Categories
Feature/Article

এস শিল্পী, এস বিশ্বকর্মা এস  স্রষ্টা, রসরূপ  মন্ত্র দ্রষ্টা

  • মিত্রা সেন.

ঢাই আখর প্রেম ” – জাতীয় সাংস্কৃতিক যাত্রা  এবারের  যাত্রা এই নামে পরিচিতঢাই  আখর কবীরের    কবিতা  থেকে উদ্ধৃত  শব্দআড়াই অক্ষর যার অর্থপ্রেমবাভালোবাসা বা সম্প্রীতি “।

 ভারতে  সাংস্কৃতিক  অভ্যুথানে  ভারতীয়  গণ নাট্য  সংঘ এর অবদান অনস্বীকার্য। ভারতীয় গণ নাট্য সংঘ একটি  জাতীয়  সংগঠন  যার স্থাপনা 1943 সালে  হয় এই উদ্দেশ্যে  – জ্যোতিরিন্দ্রনাথ মৈত্ৰের গানে,

এস মুক্ত কর, এস মুক্ত কর, অন্ধকারের এই দ্বার
এস শিল্পী ,এস বিশ্বকর্মা এস  স্রষ্টা ,রসরূপ  মন্ত্র দ্রষ্টা

 ভারতের  প্রতিটি শিল্পী ,লেখক ,বুদ্ধিজীবীকে আহ্বান করা  ও একটি সুষ্ঠ স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক মানসিকতা এবং পরিবেশ গড়ে তোলা। ভারতীয় গণ নাট্য সংঘ অতীতেও বহুবার এই ধরনের যাত্রার আয়োজন করেছে ।ইতিহাস তার সাক্ষী।

রেবা রায় চৌধুরির বই জীবেনর টানে শিল্পের টানে বইটি থেকে আমরা জানতে পারি বিভিন্ন প্রদেশের শিল্পীদের নিয়ে ভারতীয়  গণ নাট্য  সংঘ এর প্রারম্ভিক দিনগুলিতে  একটি সেন্ট্রাল স্কয়াড মুম্বাইয়ে তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন প্রদেশের লোক নৃত্য ও লোক সঙ্গীত ও তার সাথে তাদের নিজস্ব শৈলীর অনুকরণে সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা ভিত্তিক নাটক তৈরি করে সেই শিল্পীদের প্রশিক্ষিত করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্যযোগ্য গান শুনো হিন্দ কে রহনে ওয়ালো অতন্ত্য লোকপ্রিয় হয় ও বহুলোক অনুপ্রাণিত হয়ে স্বেচ্ছায় গণ নাট্য সংঘে যোগ দেন।  ভারতীয়  গণ নাট্য  সংঘ এর রাষ্ট্র সচিব নিরঞ্জন সেনের বইয়ে  উল্লেখ করা আছে যে 1943 সালে বাংলার ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষের উপর  ভিত্তি করে “নবান্ন” ও “ভুখা  হ্যায় বাঙ্গাল” নিয়ে পূর্ব বঙ্গ অধুনা বাংলা দেশ, অসম, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব ইত্যাদি স্থানে ভারতীয়  গণ নাট্য  সংঘ এর  শিল্পীরা ভ্রমণ করেন ও সেখানকার সাধারণ মানুষদের অভূতপূর্ব সাড়া  ও সাহায্য  পান।শিল্পীদের এই ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য ছিল  ভারতের প্রতন্ত গ্রামগুলি, শহরাঞ্চল থেকে শ্রমিকবর্গ,কৃষকবর্গ ও জন-মজুরদের মধ্যে প্রতিভাদের খোঁজ করে তাদের তুলে আনা ও আপামর জনগণের সামনে তুলে ধরা। ভারতীয়  গণ নাট্য  সংঘ এর হাত ধরে পরবর্তী কালে বহু শিল্পী খ্যাতি লাভ করেছেন। 

Sketch: Awdhesh Bajpai

এই অবধি ভারতীয় গণ নাট্য সংঘ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য এই ধরনের কুড়িটির ও বেশি যাত্রা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করেছে সাধারণ  মানুষদের মধ্যে ভালোবাসা, ভাতৃত্ব,শান্তি, সংহতি, সম্প্রীতি, ও বৈচিত্র এর বার্তা পৌছেঁ দেয়ার জন্যে। গত বছর 2022 সালে ঢাই আখর প্রেম যাত্রা রায়পুর (ছত্তিসগড়) থেকে শুরু হয়ে  ইন্দোরে (মধ্য প্রদেশ) সমাপ্ত  হয়। এর মধ্যে ভারতের 5 টি বড়  রাজ্য -ছত্তিসগড়,ঝাড়খন্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্য প্রদেশ হয়ে এই যাত্রা 44 দিনে সম্পন্ন হয়।এই যাত্রায় নাচ, গান, ও নাটকের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা, সম্প্রীতি, সংহতি ও শান্তির বার্তা গণ নাট্য সংঘের কর্মীরা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে সফল হয়েছেন। সব কয়টি রাজ্যেই অভূতপূর্ব  সাড়া পাওয়া যায়। জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে এসে মৈএীর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই বছর আবার ভারতীয় গণ নাট্য সংঘের উদ্যোগে ঢাই আখর প্রেম – জাতীয় সাংস্কৃতিক যাত্রা  28 শে সেপ্টেম্বর,2023 এ রাজস্থান থেকে শহীদ ভগৎ সিংহ এর জন্ম বার্ষিকীতে আরম্ভ হয়ে  দিল্লিতে 30 শে জানুয়ারি শহীদ দিবসে শেষ হবে। এই যাত্রা আমাদের সেই সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি যাঁরা বিভেদতার মধ্যে  একতার মেল্ বন্ধন  আর  মৈএী ও সৌর্হাদের জন্য নিজেদের প্রাণ বলিদান করেছেন। সারা বিশ্বে যে পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস ও ঘৃণার পরিবেশ তৈরী করা হচ্ছে তার প্রতিবাদে প্রেম ,ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিকে -দিকে পৌঁছে দেওয়ার এই যাত্রা।আমাদের  এই যাত্রা নাচ, গান, নাটক, লোক শিল্পকলার প্রদর্শন ও তার সাথে যাঁরা সমাজ প্রবর্তক, জ্ঞানী -গুণী শিল্পী, লেখক, গায়ক, নর্তক, নাট্যকার তাঁদের বাসস্থান ও সমাধিস্থল পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা।আমাদের মূখ্য উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের সাথে এই যাত্রার  দ্বারা এক  সুষ্ঠ, সুগভীর  ও মৈএীপূর্ণ  চিরন্তন  সম্পর্ক গড়ে তোলা। এই কঠিনতম সময়ে আসুন কবীরের কবিতা (দোহা ) আর গান্ধীজির অহিংসার বাণী নিয়ে আপামরের স্বপ্ন ও আশাকে বাঁচিয়ে রাখি আজকের ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে।

ঢাই আখর প্রেমযাত্রা গঙ্গা -যমুনা এর যে ঐতিহ্য একতা,ন্যায় ও সংহতির  প্রতীক।শিল্পী , শ্রমিক ,কৃষক ,যুব সম্প্রদায়  ,বুদ্ধিজীবীরা এগিয়ে আসুন ও এই যাত্রায় যোগ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার বাঁধন কে মজবুত করুন। এই যাত্রা শুধু মাত্র কোনো ধারনা কে জন্ম দেয় না বরং সেই ধারনা কে স্বাধীন ভাবে বাস্তবে পরিণত করতে শেখায়। এই যাত্রা ভবিষ্য প্রজনন্মকে এক নতুন পৃথিবীর আশ্বাস দেয়।এই যাত্রা পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ভাষা ,জাতি ,ধর্মের ভেদাভেদ মিটিয়ে একসাথে আশা ও ভালোবাসার জগতে বাঁচতে শেখায়। 

ভারতীয় গণ নাট্য সংঘ্য সমস্ত প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলিকে, লেখক, গায়ক, নাট্যকার, কবি, বুদ্ধিজীবীদের এই ভালোবাসার যাত্রায় যোগ দিতে আমন্ত্রিত করছে। আসুন আমরা সবাই নিজেদের প্রেম, ভালোবাসা, শক্তি, ঐকতা, সহানুভূতি ও  সৌহার্দ দিয়ে এই যাত্রা কে সফল করি।    

আপনাকে এই যাত্রায় স্বাগত জানাই। আপনি যে কোনো অর্থপূর্ণ ভাবে এই যাত্রার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন -অনুদান অথবা সরাসরি সযোগিতা করে, আমাদের বন্ধু হয়ে একসাথে আমাদের সঙ্গে এই যাত্রায় পা মিলিয়ে অথবা সহভাগী হয়ে এই জাতীয় প্রচারে যোগ দিন। 

আমরা মনে করি সাহায্যের একটি ছোট প্রয়াসও বহু মূল্যবান। আপনি দেশের যে কোনো জায়গা থেকে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন।আসুন একসাথে এই যাত্রা সফল করি।

संपादित हिन्दी भावार्थ

ढाई आखर प्रेम” – राष्ट्रीय सांस्कृतिक यात्रा। इस यात्रा को यही नाम दिया गया है।  ढाई आखर कबीर की कविता से उद्धृत एक शब्द है – ढाई अक्षर का अर्थ है, “प्यार” या “प्रेम“।

भारतीय जन नाट्य संघ (इप्टा) ने पहले भी कई बार ऐसी यात्राओं का आयोजन किया है। इतिहास इसका गवाह है।

रेबा रॉय चौधरी की पुस्तक “जीवनोर टाने शिल्पिदेर टाने” से हमें पता चलता है कि इप्टा के शुरुआती दिनों में, मुंबई में विभिन्न प्रांतों के कलाकारों के साथ एक केंद्रीय दल (सेंट्रल स्क्वाड) का गठन किया गया था, जिसमें विभिन्न प्रांतों के लोक नृत्यों और लोक संगीत का अनुकरण करके समकालीन शैलियों में सामाजिक/ समस्या आधारित नाटक बनाकर कलाकारों ने तत्कालीन भारत के विभिन्न हिस्सों में प्रशिक्षित और मंचित किया।  तब गीत “सुनो हिंद के रहने वालों” बहुत लोकप्रिय हुआ।

इस वर्ष फिर से भारतीय जन नाट्य संघ की पहल पर आहूत “ढाई आखर प्रेम” – राष्ट्रीय सांस्कृतिक यात्रा 28 सितंबर, 2023 को शहीद भगत सिंह की जयंती पर राजस्थान से शुरू होगी और 30 जनवरी 2024 को राष्ट्रपिता महात्मा गाँधी के शहादत दिवस पर दिल्ली में समाप्त होगी। यह यात्रा पूरे विश्व में बन रहे आपसी अविश्वास और नफरत के माहौल के विरोध में प्रेम, स्नेह, सद्भाव और भाईचारे का संदेश देने के लिए है। इप्टा मुल्क के सभी प्रगतिशील सांस्कृतिक, सामाजिक संगठनों और आम जन को इसमें शामिल होने के लिए आमंत्रित करता है।  

आइए साथी, हम सब अपने प्यार, स्नेह, शक्ति, एकता, सहानुभूति और सौहार्द से इस यात्रा को सफल बनाएं।

Edited English Gist

“Dhai Aakhar Prem” – National Cultural Jatha (March). This is the name given to this journey. Dhai Aakhar is a word quoted from Kabir’s poetry – Dhai Aakhar means “love”.

Indian Peoples’ Theatre Association (IPTA) has organized such march many times in the past also. From Reba Roy Chowdhary’s book “Jeevanor Taane Shilpider Taane” we come to know that in the early days of IPTA, a Central Squad was formed in Mumbai with artists from different provinces. Artists were trained and staged in different parts of contemporary India by creating issue based plays in their own styles of contemporary society by using the folk dances and folk music of the 19th century. The song “Suno Hind Ke Rahenwalo” became very popular at that time.

This year again, “Dhai Akhar Prem” – National Cultural Jatha (March), organized on the initiative of IPTA, will start from Rajasthan on September 28, 2023, on the birth anniversary of Shaheed Bhagat Singh and will end in Delhi on January 30,2024 on the martyrdom day of the Father of the Nation, Mahatma Gandhi. This journey is to give the message of love, affection, harmony and brotherhood in protest against the atmosphere of mutual distrust and hatred that is being created all over the world. IPTA invites all the progressive cultural, social organizations and common people of the country to join it.

Come friends, let us all make this journey successful with our love, affection, strength, unity, sympathy and harmony.

Spread the love
%d bloggers like this: